গর্ভবতী গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে | পর্ব ৫



গর্ভবতী গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে | পর্ব ৫


রাজ:আমার একটাই শর্ত আমি যে খুন করেছি সজিবকে তা তুমি জানো আর কেউ জানেনা। আমি চাই তুমি ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ জেনে এ কথা না জানে, তোমার গর্ভের সন্তানের কসম করে বলো?


কথা:"রাজ তুমি কি আমার শরীলটাকেই ভালোবাসতে যার জন্য নিজের ভাইয়ের মতো বন্ধুটাকে খুন করলে। তোমার এতই আমার শরীলের প্রতি লোেভ তাহলে সজিবকে না খুন করে আমাকে জোর করে তো ধর্ষণই করতে পারতে"!


কথাটা বলে কথা কেঁদে দিলো


রাজ:আমার শর্তে রাজি কিনা?


কথা:হুম! তোমার শর্তে রাজি। কথা মনে মনে ভাবছে রাজ যেমন করে তার স্বামীকে তার জীবন থেকে সরিয়ে ফেলেছে, তেমনি রাজকেও কথা খুন করে তার স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে। তাই গর্ভের সন্তানের কসম করে বললো সজিবকে খুন করার কথা কাউকে বলবে। কথা নিজের হাতে তার স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে।


কথা:হ্যা বলো তোমার ছোট্ট শর্ত হচ্ছে! আমার সাথে শারীরীক সম্পর্ক করবে! আমার শরীলের কোথায় কোথায় তিল আছে কি রকম তা নিজ চোখে দেখবে। শরীলটাই তো চাও। আচ্ছা বলো কখন কোথায় করবে? কি চাও তুমি বিয়ে করতে চাইলা তাও রাজি হয়ে গেলাম। আর কী চাও বলো?


রাজ:হুম! ধন্যবাদ। তবে আমার আর একটি ছোট্ট শর্ত রয়েছে?


রাজ: আপনি যতটা খারাপ ভাবছেন ততটা খারাপ আমি না। আপনাকে ভালবাসি আর ভালবাসার জন্য একটা নাহ্ হাজারটা খুন করতে পারি!


কথা:ভালবাসা নামক পবিএ শব্দটি তোমার মুখে মানায় না রাজ। আচ্ছা বাদ দাও তোমার শর্ত বলো কী এমন শর্ত? তোমার সব শর্তেই এখন আমার রাজি হতে হবে কেননা তা নাহলে তুমি তো আমায় ব্লেকম্যাল করবে।


রাজ:তাহলে শুন, আমি জানি তুমি আমাকে মন থেকে স্বামী হিসেবে মানবেনা বিয়ের পর কিন্তু তবুও আমার কোন আফসোস নেই। কিন্তু আমি চাইনা আমাদের জন্য মা বাবা কষ্ট পাক! তুমি আমার, মা - বাবা সবার সামনে স্ত্রীর অভিনয় করবে কেমন?


কথা: হুম তোমার শর্তে রাজি! আমি এখন আসি।


রাজ: আচ্ছা যাও বাবাকে তোমাদের বাসায় পাঠাবো বিয়ের কথা বলে!



কথা: কথা বাসায় আসতেই দেখে সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে। বাবাকে রাগি রাগি দেখাচ্ছে!


কথার বাবা: কোথায় গিয়েছিলে?


কভয়ে ভয়ে বললো


কথার বাবা:আচ্ছা বাদ দে! তোর বিছানায় নিচে একটা ডাক্তারে পেসক্রিপশন পেলাম। তুই নাকি অন্তঃসন্তা? কিভাবে পারলি আমাদের মুখে চুনকালি দিতে! আমাদেরকে তো বলতে পারতি তোর কাউকে পছন্দ! কিংবা তোর ছোট বোনকে বলতে পারতি বিয়ে দিয়ে দিতাম। তোবার মা নষ্টা মেয়েকে বলো আমার বড় মেয়ে কথা মারা গেছে। আর কোন দুশ্চরিত্রা মেয়ের জায়গা হবে না আমার বাসাতে!


এটা বলে বের হয়ে গেলো কথা তার বাবার মুখে এসব শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কথা কেমনে বলবে কথা নষ্টা না তাদের গর্ভে বৈধ সন্তান। কিন্তু সজিব তো মারা গিয়েছে। কেমনে বিশ্বাস করাবে সজিবকে ভালবেসে বিয়ে করে। আর সজিবের সন্তানই কথার পেটে।


কথার মা:একবার ও আমাদের কথা ভাবলি না?


কথা:মা বিশ্বাস করো তোমরা যা ভাবছো তা আমি না!


কথার মা: যাহ্ আমার চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যাহ্!


কথা তার মায়ের কথা শুনে দৌড়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে লাগলো। আর মনে মনে বলতে লাগলো


কথা:আল্লাহ্ কি এমন অপরাধ করেছি আমি যার কারণে আমাকে এমন শাস্তি দিচ্ছো। আমি আর বাঁচতে চাইনা। আল্লাহ সুসাইড করা পাপ তবুও এছাড়া আর কোন উপায় নেই!


একথা বলে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটতে যাবে তখনি! ক্রিং ক্রিং করে মোবাইলটা বাজতে লাগলো। বিরক্তি নিয়ে ফোনটা তুলতেই


রাজ:হাই সুইটহার্ট কেমন আছো?


কথা কোন কথা বলছেনা। শুধু কাঁদছে। আজকে এই রাজের জন্যই কথার এই পরিস্থিতি। মনে হচ্ছে খুনিটাকে খুন করতে কথা!


রাজ:আমার সুইটহার্ট কাঁদছে। কেনো?


কথা: বাবা যেনে গিয়েছে আমি অন্তঃসন্তা। বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলছে। কি করবো বলো? বাবাকে কি বলবো?


রাজ:তুমি কোন চিন্তা করোনা। আমি বাবাকে সব বলবো। তুমি বিয়ের জন্য রেডি হও


কথক:-বলে ফোন কেঁটে দিলো রাজ"


রাজ: রিও মা কোথায় রে?


রিও:রান্না ঘরে আছে। হঠাৎ মাকে কেন ভাইয়া?


রাজ:দরকার আছে। তুই যা এখন। মার কাছে গিয়ে সব খুলে বললাম। মা বললো


রাজের মা:- বাবা তুই কিছু ভাবিস নি কথক:--বলে আবারো রান্না ঘরে চলে গেলো!



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন