Heart touching videos part 1
Kuchh bhi Ho jaaye Yara
গর্ভবতী গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে | পর্ব ৫
রাজ:আমার একটাই শর্ত আমি যে খুন করেছি সজিবকে তা তুমি জানো আর কেউ জানেনা। আমি চাই তুমি ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ জেনে এ কথা না জানে, তোমার গর্ভের সন্তানের কসম করে বলো?
কথা:"রাজ তুমি কি আমার শরীলটাকেই ভালোবাসতে যার জন্য নিজের ভাইয়ের মতো বন্ধুটাকে খুন করলে। তোমার এতই আমার শরীলের প্রতি লোেভ তাহলে সজিবকে না খুন করে আমাকে জোর করে তো ধর্ষণই করতে পারতে"!
কথাটা বলে কথা কেঁদে দিলো
রাজ:আমার শর্তে রাজি কিনা?
কথা:হুম! তোমার শর্তে রাজি। কথা মনে মনে ভাবছে রাজ যেমন করে তার স্বামীকে তার জীবন থেকে সরিয়ে ফেলেছে, তেমনি রাজকেও কথা খুন করে তার স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে। তাই গর্ভের সন্তানের কসম করে বললো সজিবকে খুন করার কথা কাউকে বলবে। কথা নিজের হাতে তার স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিবে।
কথা:হ্যা বলো তোমার ছোট্ট শর্ত হচ্ছে! আমার সাথে শারীরীক সম্পর্ক করবে! আমার শরীলের কোথায় কোথায় তিল আছে কি রকম তা নিজ চোখে দেখবে। শরীলটাই তো চাও। আচ্ছা বলো কখন কোথায় করবে? কি চাও তুমি বিয়ে করতে চাইলা তাও রাজি হয়ে গেলাম। আর কী চাও বলো?
রাজ:হুম! ধন্যবাদ। তবে আমার আর একটি ছোট্ট শর্ত রয়েছে?
রাজ: আপনি যতটা খারাপ ভাবছেন ততটা খারাপ আমি না। আপনাকে ভালবাসি আর ভালবাসার জন্য একটা নাহ্ হাজারটা খুন করতে পারি!
কথা:ভালবাসা নামক পবিএ শব্দটি তোমার মুখে মানায় না রাজ। আচ্ছা বাদ দাও তোমার শর্ত বলো কী এমন শর্ত? তোমার সব শর্তেই এখন আমার রাজি হতে হবে কেননা তা নাহলে তুমি তো আমায় ব্লেকম্যাল করবে।
রাজ:তাহলে শুন, আমি জানি তুমি আমাকে মন থেকে স্বামী হিসেবে মানবেনা বিয়ের পর কিন্তু তবুও আমার কোন আফসোস নেই। কিন্তু আমি চাইনা আমাদের জন্য মা বাবা কষ্ট পাক! তুমি আমার, মা - বাবা সবার সামনে স্ত্রীর অভিনয় করবে কেমন?
কথা: হুম তোমার শর্তে রাজি! আমি এখন আসি।
রাজ: আচ্ছা যাও বাবাকে তোমাদের বাসায় পাঠাবো বিয়ের কথা বলে!
কথা: কথা বাসায় আসতেই দেখে সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে। বাবাকে রাগি রাগি দেখাচ্ছে!
কথার বাবা: কোথায় গিয়েছিলে?
কভয়ে ভয়ে বললো
কথার বাবা:আচ্ছা বাদ দে! তোর বিছানায় নিচে একটা ডাক্তারে পেসক্রিপশন পেলাম। তুই নাকি অন্তঃসন্তা? কিভাবে পারলি আমাদের মুখে চুনকালি দিতে! আমাদেরকে তো বলতে পারতি তোর কাউকে পছন্দ! কিংবা তোর ছোট বোনকে বলতে পারতি বিয়ে দিয়ে দিতাম। তোবার মা নষ্টা মেয়েকে বলো আমার বড় মেয়ে কথা মারা গেছে। আর কোন দুশ্চরিত্রা মেয়ের জায়গা হবে না আমার বাসাতে!
এটা বলে বের হয়ে গেলো কথা তার বাবার মুখে এসব শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কথা কেমনে বলবে কথা নষ্টা না তাদের গর্ভে বৈধ সন্তান। কিন্তু সজিব তো মারা গিয়েছে। কেমনে বিশ্বাস করাবে সজিবকে ভালবেসে বিয়ে করে। আর সজিবের সন্তানই কথার পেটে।
কথার মা:একবার ও আমাদের কথা ভাবলি না?
কথা:মা বিশ্বাস করো তোমরা যা ভাবছো তা আমি না!
কথার মা: যাহ্ আমার চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যাহ্!
কথা তার মায়ের কথা শুনে দৌড়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে লাগলো। আর মনে মনে বলতে লাগলো
কথা:আল্লাহ্ কি এমন অপরাধ করেছি আমি যার কারণে আমাকে এমন শাস্তি দিচ্ছো। আমি আর বাঁচতে চাইনা। আল্লাহ সুসাইড করা পাপ তবুও এছাড়া আর কোন উপায় নেই!
একথা বলে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটতে যাবে তখনি! ক্রিং ক্রিং করে মোবাইলটা বাজতে লাগলো। বিরক্তি নিয়ে ফোনটা তুলতেই
রাজ:হাই সুইটহার্ট কেমন আছো?
কথা কোন কথা বলছেনা। শুধু কাঁদছে। আজকে এই রাজের জন্যই কথার এই পরিস্থিতি। মনে হচ্ছে খুনিটাকে খুন করতে কথা!
রাজ:আমার সুইটহার্ট কাঁদছে। কেনো?
কথা: বাবা যেনে গিয়েছে আমি অন্তঃসন্তা। বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলছে। কি করবো বলো? বাবাকে কি বলবো?
রাজ:তুমি কোন চিন্তা করোনা। আমি বাবাকে সব বলবো। তুমি বিয়ের জন্য রেডি হও
কথক:-বলে ফোন কেঁটে দিলো রাজ"
রাজ: রিও মা কোথায় রে?
রিও:রান্না ঘরে আছে। হঠাৎ মাকে কেন ভাইয়া?
রাজ:দরকার আছে। তুই যা এখন। মার কাছে গিয়ে সব খুলে বললাম। মা বললো
রাজের মা:- বাবা তুই কিছু ভাবিস নি কথক:--বলে আবারো রান্না ঘরে চলে গেলো!
কথা:আর এক'পা যদি আমার সামনে আসেন তাহলে নিজেকে শেষ করে দিবো।
বলে চিৎকার দিতেই- রাজের ঘুম ভেঙ্গে যায়!রাজ ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো
রাজ::কি হয়েছে কথা?
কথা:আপনি একটা পশু! আপনি আমার সামনে আসবেন না। আপনাকে আমি স্বামী বলে মানিনি।
বলেই একটা থাপ্পর দিলো রাজকে। -রাজের বুঝতে বাকী হলোনা কথা কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছে! তাই কাছে গিয়ে বসলো। কথা কেমন জানি ভয়ে জড়োসরো হয়ে গেছে।
রাজ:-এই কথা নাও পানি খাও।
কথা পানি খাওয়ার পর চোখে মুখে পানি দিয়ে বুঝতে পারলো কথা দুঃস্বপ্ন দেখেছে। এখনো কথার গায়ে বিয়ের সে শাড়ী। বাসর ঘরটা ফুলে ফুলে সাজানো। যেমনটা সাজানো ছিল দু'মাস আগে। আজ কথার জীবনে দ্বিতীয় বাসর রাত কথা দু'মাস আগেই বিয়ে করেছে সবাইকে না জানিয়ে। কথা জানে, কথার স্বামী "সজিবকে" রাজ খুন করেছে কথাকে পাওয়ার জন্য। এজন্য কথা রাজকে স্বামী হিসেবে না মানলেও পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বিয়ে করে।এজন্যই কথা রাজকে সহ্য করতে পারেনা।রাজ কথাকে ভালোবাসতো সেই কলেজ জীবন থেকেই। কিন্তু কথা কখনোই রাজকে ভালোবাসেনি। কথা রাজকে সেফ বন্ধু ভাবতো। কথা ভালোবাসতো সজিব কো তারা দুজন-দুজনকে ভালোবেসে সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করে। আর সজিবের সন্তানই কথার গর্ভে বড় হচ্ছে। সজিব রাজের হাতে খুন হলেও কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকায় কথা কাউকে কিছু বলতে পারেনা। কথা শুধু জানে রাজ কথাকে পাওয়ার জন্য সজিবকে তার পথ থেকে সড়িয়ে ফেলে।
রাজ:--ওহ্ আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই দেওয়া হয়নি! আমি জিসান আহম্মেদ রাজ। বাকিটা না হয় গল্প পড়তে পড়তে জেনে নিবেন।।
সজিব খুন হওয়ার পর কথা খুব কেঁদেছিল। কথা কখনো ভাবতেই পারেনি রাজ তার স্বামী সজিবকে খুন করবে। কারণ সজিব আর রাজ বাল্যকাল থেকেই বন্ধু। মায়ের পেটের ভাই। কথা কাউকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি। শেষবারের মতো স্বামীর মুখটাও দেখতে পারেনি। দিন- দিন তাদের ভালবাসার ফসল বাচ্চাটা কথার গর্তে বড় হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই কথা ভাবছে কী করবে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলবে। তা না হলে কি করে সমাজে মুখ দেখাবে। সমাজ থেকে তো বাবা- মাকে বের করে দিবে। সজিবকে বিয়ে করার কথাও কেউ জানেনা। বাচ্চা হলে সবাই জারজ সন্তান ডাকবে নাহ এটা কী ভাবছে। কথার এখন সুসাইড করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল সে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। বেলকুণিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছে। হঠাৎ কিং কিং করে ফোনটা বাজছে। আননোন নাম্বার দেখে কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে