গর্ভবতী গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে | পর্ব ২



গর্ভবতী গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে | পর্ব ২


কথা:আর এক'পা যদি আমার সামনে আসেন তাহলে নিজেকে শেষ করে দিবো।

বলে চিৎকার দিতেই- রাজের ঘুম ভেঙ্গে যায়!রাজ ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো


রাজ::কি হয়েছে কথা?


কথা:আপনি একটা পশু! আপনি আমার সামনে আসবেন না। আপনাকে আমি স্বামী বলে মানিনি।


বলেই একটা থাপ্পর দিলো রাজকে। -রাজের বুঝতে বাকী হলোনা কথা কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছে! তাই কাছে গিয়ে বসলো। কথা কেমন জানি ভয়ে জড়োসরো হয়ে গেছে।


রাজ:-এই কথা নাও পানি খাও।


কথা পানি খাওয়ার পর চোখে মুখে পানি দিয়ে বুঝতে পারলো কথা দুঃস্বপ্ন দেখেছে। এখনো কথার গায়ে বিয়ের সে শাড়ী। বাসর ঘরটা ফুলে ফুলে সাজানো। যেমনটা সাজানো ছিল দু'মাস আগে। আজ কথার জীবনে দ্বিতীয় বাসর রাত কথা দু'মাস আগেই বিয়ে করেছে সবাইকে না জানিয়ে। কথা জানে, কথার স্বামী "সজিবকে" রাজ খুন করেছে কথাকে পাওয়ার জন্য। এজন্য কথা রাজকে স্বামী হিসেবে না মানলেও পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বিয়ে করে।এজন্যই কথা রাজকে সহ্য করতে পারেনা।রাজ কথাকে ভালোবাসতো সেই কলেজ জীবন থেকেই। কিন্তু কথা কখনোই রাজকে ভালোবাসেনি। কথা রাজকে সেফ বন্ধু ভাবতো। কথা ভালোবাসতো সজিব কো তারা দুজন-দুজনকে ভালোবেসে সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করে। আর সজিবের সন্তানই কথার গর্ভে বড় হচ্ছে। সজিব রাজের হাতে খুন হলেও কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকায় কথা কাউকে কিছু বলতে পারেনা। কথা শুধু জানে রাজ কথাকে পাওয়ার জন্য সজিবকে তার পথ থেকে সড়িয়ে ফেলে।


রাজ:--ওহ্ আপনাদের তো আমার পরিচয়টাই দেওয়া হয়নি! আমি জিসান আহম্মেদ রাজ। বাকিটা না হয় গল্প পড়তে পড়তে জেনে নিবেন।।


সজিব খুন হওয়ার পর কথা খুব কেঁদেছিল। কথা কখনো ভাবতেই পারেনি রাজ তার স্বামী সজিবকে খুন করবে। কারণ সজিব আর রাজ বাল্যকাল থেকেই বন্ধু। মায়ের পেটের ভাই। কথা কাউকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি। শেষবারের মতো স্বামীর মুখটাও দেখতে পারেনি। দিন- দিন তাদের ভালবাসার ফসল বাচ্চাটা কথার গর্তে বড় হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই কথা ভাবছে কী করবে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলবে। তা না হলে কি করে সমাজে মুখ দেখাবে। সমাজ থেকে তো বাবা- মাকে বের করে দিবে। সজিবকে বিয়ে করার কথাও কেউ জানেনা। বাচ্চা হলে সবাই জারজ সন্তান ডাকবে নাহ এটা কী ভাবছে। কথার এখন সুসাইড করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল সে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। বেলকুণিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছে। হঠাৎ কিং কিং করে ফোনটা বাজছে। আননোন নাম্বার দেখে কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা তুলতেই ওপাশ থেকে



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন